Tuesday, September 8, 2009

রোমন্থন লিপি : ৪

কাঠ কয়লা পুড়ে ছাই হয় নির্লজ অন্ধকারে ইচ্ছের বিপরীতে পুড়ে তরতাজা রোদের সকাল
রহস্যকথা একাকী বতাসে ওড়ে ধীরে
যত পাখি উড়ে যায়; তত পাখি ধরা পড়ে

আমি তো কাঠ কয়লার সেজে পুড়ছি সকাল-সন্ধ্যা
রাত্রি ঘনালে দূরে যাবো না— যদি বেরোয় আগুনের লাভা

ইতি-অবসরে

পাতার সবুজ প্রেম, প্রাণে ক্লোরোফিল কার কাছে কে বাঁধা থাকে বলো চিরকাল
আমার হাতে বেঁধে রাখো তোমার নাকফুল

তুমি কি জানো; কারা ছিঁড়েছে সুতো কারা সেজেছে কবিয়াল
মানুষ মানুষের কাছে বাঁধা রবে আর কতদিন; কতকাল
দেখে নেয়া যেত তুমি ফিরে এলে—
ইতি-অবসরে কোথায় গড়িয়েছে কোথাকার জল

ভারাক্রান্ত দেহ

তবু অশ্রুতে পুড়ে ভারাক্রান্ত দেহ
তাই স্মৃতি তাড়িত ভোর হলে চারপাশে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেই আলো—


তুমি ক্ষরণটুকু এঁকে দাও রোদের তাপে
ক্রমশ শংকিত হই; ম্লান চোখে চেয়ে
প্রসারিত করো চোখ পয়মন্ত রোদে
ভারাক্রান্ত দেহ পুড়বে না কভু সহে যাবে—
কাকপক্ষী জানবে না; তুমি পোড়ালে

রেখা

যতটুকু গ্রহণতা ফুরায়, তারচে’ ঢের বেশি হারায় আমি ঝরতে দেখেছি অশ্রু অতলরাত্রির পরে; অবেলায়
মানুষ চিরকাল চক্রবৃত্তে ঘোরে; আশাকাঙ্ক্ষায়
তারচে বেশি হলে তোমার স্মৃতি বেঁধে নেবো হাতের মুঠোয়

শোনোনি আগে আড়ালে-আবডালে কথকতা পোড়ে; ভাবায়
বেদনাহত হলে মনপাখি উড়ে বাতাসে— ঘরের কোণায়
গড়িয়ে পড়ে উষ্ণ লালা শীতরাত্রি পরে বসন্ত ছায়ায়
গোপনে তুমি ঝরিয়েছো জল চোখে, তটরেখায়
যতটুকু গ্রহণতা ফুরায়; শরীর কাঁপায়

Monday, September 7, 2009

শূন্যতা

আমি তো জলের শূন্যতা মেপে দেখিনি
তাই আয়নার সামনে তোমাকে খুঁজি বার-বার
পেছনে তুমি নেই; তোমার ছায়াকে পাবো না জানি—
তারপরও কেন যে বায়না ধরো অনুভবে
ফুটে কল্পনা; পোড়াও মুখ-মুখচ্ছবি
পাতার আড়ালে ঢেকে রাখো প্রবলস্পৃহা কিছুটা বুঝি

কেউ তো কখনো ভাবিনি আমাদের প্রাপ্তি দাঁড়ালো কোথায়
কোথায় শেষ হবে— কতটা ব্যাপ্তি
তুমি কি প্রতীক্ষাগুলো গুনে রেখেছো; নাকি কখনো ভাবোনি
কখনো এমন হবে না জেনে চোখে শূন্যতা কভু মেপে দেখিনি

স্বপ্নভ্রম

রোদে হেসেছে উঠোন সাথে হেসেছো তুমি—
ছুয়েছো বরফগলাজল; শুষে নিয়েছো তাপদাহসহ
                                       অবশিষ্ট রোদ
কত স্বপ্ন স্মৃতিভ্রমে উড়ে নিঃশ্বাসে জ্বলে দেখো
                                  ছাইহীন মোম

আমি তো মুদ্রাদোষে একা— পেয়েছি শূন্যতা
তুমি গুছিয়ে রাখো তোমার মতো করে রোদজল
মুঠো ভরে রাখোনি আমার জন্য স্বপ্নশূন্যতা

এসো ২

তার পদচিহ্নে হেসে ওঠে মাটি কেঁদেছে ধুলো ক্রোধে
মেঘে-মেঘে ঘনঘটা আকাশ যে পাশে
তাই
তোমার হাতে, পাশে রাখা কাগজের ফুল
বাদে
জলাতঙ্ক জাগে জল ছুঁতে গেলে, তোর ঠোঁটে লোনা জন্মে
প্রায়ই
চোখের ক্লান্তি কি শুষে নেবে কেউ, তারপরে…
তবে
শরীর ছেঁকে নেবে যারা; পুনর্বার তারা— তুমি কি পূর্ণতা
পাবে
কতকিছু ভাবি— কিছু মনে থাকে না, স্বভাবে