তোমাদের শরীর পুজো করি বরষার পাত্রে ঢেলে ও ধ্রুবজলকণা বৃষ্টিভাবিত ঝরনার শরীর, তোমাদের দ্রোহকথাগুলো একত্র হলে চূর্ণবিচূর্ণ কথাগুলো এঁকে রেখে দেবো ঝাউগাছের বল্কলে সারি-সারি টবে হেসে ওঠে জুঁই,স্খলিত হাসির ব্যঞ্জনায় ছুটতে বাতাস আর বাতাসের মোড়কে আটকে গেছে হৃদ্যতার খোলস; নির্জনে বেড়ে ওঠে বৃক্ষরাজি…বরষাঋতু… আহা!...রকমারি সৌরভে বিমোহিত আমি মল্লিকার কলঙ্কিত ফুল। বরষাঋতু নাকি বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময়! আমাকে জাগিয়ে তোলে শাড়িপরা গাছ। সেই ক্ষণে অজল চোখের ষোলকলা জেনে আমিও রোপণ করেছি কিছু স্মৃতিগাছ আর ইদানীং আমার স্বপ্নরা উড়ে যায় শাড়িপরা গাছের সাথে, নির্জনে কথা কয়… আমার অনুজ যারা যেমন আমপাতা জামপাতা বাঁশের করুল। দেহগাছ স্মৃতিগাছ তার সাথে শাড়িপরা একত্রে বেড়ে ওঠে জানি— জানি তাতে ঋণী আমি ওই নিমগাছের মূলে। তবুও তো তোমাদের শরীর পুজো করে যাবো, কেননা আরো কিছু চূর্ণকথা লিখতে হবে আমাকে বৃক্ষের বল্কলে
No comments:
Post a Comment